ভাল আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো...............

ভাল আছি, ভালো থেকো,
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালাখানি,
বাউলের এই মনটা রে।

আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক,
খোলসের আবরনে মুক্তর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম,
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে।

বিচার চাই.....................ফকির লাল মিয়া

সারা দেশে শান্তি নাই, ফকির লালের ঘুম নাই
ভালা মাইনষের ভাত নাই, আদালতে আইন নাই
কোট কাচারি চাইয়া দেখে এই দেশেতে বিচার নাই
এই দেশেতে মানুষ নাই
এই দেশেতে মানুষ থাকলে
মানুষের কি চোখ নাই?

স্বাধীনতার দাম নাই, মুক্তিযোদ্ধার মান নাই
দেশ প্রেমিকে চাইয়া দেখে
এই দেশেতে উপায় নাই
এই দেশেতে ঠাঁই নাই
এই দেশেতে মানুষ থাকলে
মুজিব হত্যার বিচার চাই।।

একাত্তরের দালালরা হুশিয়ার সাবধান
অস্ত্র থাকে কাপুরুষের, লাল বাহিনীর র‌্যাপ গান
ধর্মের নামে ধান্ধাবাজি এই শালারা বেঈমান
মূর্খ মানব মন্ত্রি হইছে, লাত্থি মাইরা চেয়ার ভাঙ
রাজনীতিতে রাজা হইছো, রক্ত হাতে মুসলমান
ফকির লালে শালিস ডাকছে আলবদরগো ডাইকা আন
স্বাধীন দেশে বোমা মারে, মারবার আগে আরেকবার
বুতাম শার্টের খুলা আগে লালের বুকে বোমা মার
দেলু দালাল দাড়ি রাখলে মানুষ কিন্তু বদলে না
মুসলমানের বাচ্চা আমরা আল্লাহ রসুল শিখাইস না
ভাইরা আমার রক্ত দিছে এই কথাটা ভুলিস না
সরকার খেলে কানামাছি চোখে দালাল দেখে না
কিয়ামতের ময়দানেও লালে তোগো ছাড়বো না
বাংলা Rap এর বন্দুক হাতে খুদার কসম বাঁচবি না
ভুল তো করে সবাই কিন্তু কিছু ভুলের মাফ নাই
ভাইরা আমার জীবন দিছে আলবদরগো বিচার চাই।।

শহীদ জিয়া স্মৃতি স্বরুপ কিছু কথা লেখতে চাই
হঠাৎ কইরা কি যে হইলো, কাগজ আছে কলম নাই
পঁচাত্তুরের মীরজাফর, বাঙালিরা ভুলে নাই
কলম হাতে ঠিকই লালের বাঁইচা গেছস লেখে নাই
হুমকি দিয়া কি লাভ মিয়া, ফকিরের আর কিসের ভয়
রক্ত হাতে চশমা চোখে, খুনি কেমনে শহীদ হয়?
চামচিকারে বাংলাদেশে কে বানাইলো মাতব্বর?
লাল সবুজে শরীল ঢাকা, সব শালারা মীরজাফর
জয় জয় পাকিস্তান, জয় জয় মুসলমান
দালালরা সব ঐক্যজোটে দেশ বানাইছে গোরস্তান
ষড়যন্ত্রের শিকার কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরে নাই
মার্চ মাসের ভাষণ আমি ঘুমে থাইকা শুনতে পাই
থানা পুলিশ ডাইকা আনো, খুন-খারাবি করতে চাই
বঙ্গবন্ধু বাঁইচা আছে, বাঙ্গালিরা বাঁইচা নাই
শেখ হাসিনার দলে আমি ভর্তি হইতে আসি নাই
আমি একজন বাংলাদেশি, মুজিব হত্যার বিচার চাই।।

কলম হাতে ফকির লালের আজকে যদি মৃত্যু হয়
আমার খাতায় জীবন যুদ্ধের এটাই সবচে’ বড় জয়
কথার দিছ দুকান খুইলা আমার কওয়ার আছে কি?
ইচ্ছামতো দেশ চালাইলে গণতন্ত্রের দরকার কি?
মাইরা ধইরা আছে যা সব খা তাতে আমার কি?
চাউলের কেজি তিরিশ টাকা দিনমজুরে খাইবো কি?
কৃষক, শ্রমিক উপোস থাকলে স্বাধীনতার মূল্য কি?
তুমার ভাই, আমার ভাই, ফাইজলামির আর সীমা নাই
সব ভাইরেই দেখা আছে, কোন ভাইরে বিশ্বাস নাই
বন্দুক নিয়া ঘুরলে কি লাভ গুলি যদি ফুটে না?
পুলিশ থাইকা দেশে কি লাভ ডাকাইত যদি ধরে না?
লালের যত মাথা ব্যাথা আর কি দেশে মানুষ নাই?
সালাম, রফিক রক্ত দিছে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
ওদের স্বপ্ন সফল হওয়ায় আমার কুনো কষ্ট নাই
মতিউরের জাহাজ ভাঙছে, স্বপ্ন কিন্তু ভাঙে নাই
আজকে দেশে মানুষ আছে, একটা খালি প্রেমিক নাই।।

সারা দেশে শান্তি নাই, ফকির লালের ঘুম নাই
ভালা মাইনষের ভাত নাই, আদালতে আইন নাই
কোট কাচারি চাইয়া দেখে এই দেশেতে বিচার নাই
এই দেশেতে মানুষ নাই
এই দেশেতে মানুষ থাকলে
মানুষের কি চোখ নাই?

স্বাধীনতার দাম নাই, মুক্তিযোদ্ধার মান নাই
দেশ প্রেমিকে চাইয়া দেখে
এই দেশেতে উপায় নাই
এই দেশেতে ঠাঁই নাই
এই দেশেতে মানুষ থাকলে
মুজিব হত্যার বিচার চাই।

চাঁদনী পসর.........

চাঁদনী পসরে কে আমার স্মরণ করে
কে আইসা দাড়াইসে গো আমার দুয়ারে
তাহারে চিনিনা আমি, সে আমারে চিনে

বাহিরে চাঁন্দের আলো, ঘর অন্ধকার
খুলিয়া দিয়াছি ঘরের স্বপন দুয়ার
তবু কেন সে আমার ঘরে আসেনা
সে আমারে চিনে কিন্তু আমি চিনিনা

সে আমারে থরে থরে ইশারায় কয়
এই চাঁদের রাইতে তোমার হইছে গো সমর
ঘর ছাড়িয়া বাহির হও ধরো আমার হাত
তোমার জন্য আনছি গো আইজ চাঁন্দেরও দাওয়াত

মনে কর যদি সব ছেড়ে হায় চলে যেতে হয় কখনো আমায়.................চিত্রা সিং

মনে কর যদি সব ছেড়ে হায়
চলে যেতে হয় কখনো আমায়
মনে রবে কি রজনি ভরে
নয়ন দুটি ঘুমে জড়াতে নিশি রাতে
কে গান শুনাতো.......

তোমারি নামে ফুল ছড়ায়ে
কাটা গুলো কে দিতো সরায়ে
হৃদয় ভরা মাধুরী নিয়ে
সাথে থেকে কে আশা জাগাতো.....

মনে কর যদি সব ছেড়ে হায়
চলে যেতে হয় কখনো আমায়
মনে রবে কি রজনি ভরে
নয়ন দুটি ঘুমে জড়াতে নিশি রাতে
কে গান শুনাতো.......

তোমারি নামে দিনের ও শেষে
দ্বীপ জালাতো কে ভালোবেসে
ছিল জীবনে হাসি হয়ে কে
ব্যাথা হয়ে কে ব্যাথা রাঙ্গাতো......

মনে কর যদি সব ছেড়ে হায়
চলে যেতে হয় কখনো আমায়
মনে রবে কি রজনি ভরে
নয়ন দুটি ঘুমে জড়াতে নিশি রাতে
কে গান শুনাতো.......

ভাল আছি ভাল থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো...........

ভাল আছি ভাল থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো
দিও তোমার মালা খানি
বাউলেরই মনটারে......

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছ তুমি হৃদয় জুড়ে ।।

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক
খোলশের আবরনে মুক্তার সুখ।।
তেমনি তোমার নিবিড় ছোয়া।।
হৃদেয়র নীল বন্দরে.....

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছ তুমি হৃদয় জুড়ে ।।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম
পাপড়ির আবডালে ফসলের সুখ
তেমনি তোমার নিবিড় ছোয়া।।
হৃদেয়র নীল বন্দরে.....

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছ তুমি হৃদয় জুড়ে ।।

রঞ্জনা - অঞ্জন দত্ত

পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেবো
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্যপাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই
রঞ্জনা আমি আর আসবো না 

ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নেইনি
পদবিতে ছিলো না যে হাত
মসজিদে যেতে হয় তাই জোর করে যাই
বচ্ছরে দু'একবার 

বাংলায় সত্তর পাই আমি এক্সামে
ভালো লাগে খেতে ভাত মাছ
গাঁজা-সিগারেট আমি কোনটাই ছুঁইনা
পারিনা চড়তে কোন গাছ

চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।

বুঝবো কি করে আমি তোমার ঐ মেঝ দাদা
শুধু যে তোমার দাদা নয়
আরো কত দাদাগিরি কব্জির কারিগরি
করে তার দিন কেটে যায়।।

তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি
নিলু বিলু কিম্বা নিতাই
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারিনা
ভ্যাবা ভ্যাবা ভ্যাবাচ্যাকা খাই

সত্যিকারের প্রেম জানিনাতো কি সেটা
যাচ্ছে জমে হোম টাস্ক
লাগছে না ভালো আর মেট্রো-চ্যানেলটা
কান্না পাচ্ছে সারা রাত

হিন্দু কি জাপানী জানি না তো তুমি কি
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি
পারবো না ছাড়তে এই ঠ্যাং

চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।

অনিকেত প্রান্তর - আর্টসেল

তবু এই দেয়ালের শরীরে
যতো ছেড়া রং, ধুয়ে যাওয়া মানুষ
পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার
যতো উদ্ভাসিত আলো রং

আকাশের মতন অকস্মাত নীল
নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ
তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙ্গে

দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে
বিঁধে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া
জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়
দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত
তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়
আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস
ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা

তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়
রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে

দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে
মিশে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

তবু এই দুটি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে
ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার
অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে
সময়কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে

তবু এখানে বাতাস আসে দূরত্বের উৎসাহে
শরৎ জমে আছে ঠান্ডা ঘাসে
তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ
এখানে ভাঙ্গে না দুটো দেশে

মেঘের দূরপথ ভেঙ্গে বুকের গভীর অন্ধকারে
আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতো
অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে
সময় থেমে থাকে অনাগত
যুদ্ধের বিপরীতে

এখানে স্বরনীর লেখা নেই নাম, কোন শহীদ সড়কে
তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর
জানালায় ঝুলে থাকে না, শূন্যতার অবচেতন
তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা

এখানে নির্জন
অনিকেত প্রান্তর

তবু তোমার ভাঙ্গা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর
ছেঁড়া আকাশ ভাঙ্গা কাঁচে
আলো আর অন্ধকার তোমার
তোমার দেয়ালে কত লেখা, মানুষের দেয়ালে দেয়াল
বেড়ে ওঠে কাঁটাতার, এখানে মহান মানচিত্রের ভাগাড়

তোমার শূন্য ঘরে ভরা স্মৃতি
জড়ো পাথরে লেখা নাম
শহীদ স্বরনী, জানালার বাইরে
ভেসে গেছে দূরের আকাশ
বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে
বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মতো তুমি

তোমার স্বপ্নের, দলাপাকানো
বাসি কবিতা, নষ্ট গানে
তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ
তবু অনিকেত এই প্রান্তরে

এখানে এখনো শরতের প্রচুর বাতাসে
সবুজের ঘ্রানে
ভরে আছে অন্ধকারে ঘর তোমার
দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা ভাঙ্গা স্বপ্ন
ঘুমের মতো নেশাময় কত

কত শিশু কত
আলোর মশাল নিভে গেছে
নিভে গেছে কত অচেনা ভয়
তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়
তোমার জানালার বাইরে শূন্যে
দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায়
মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর ?

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও - অনুপম রয়

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই থাক
সব পেলে নষ্ট জীবন।

তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলো
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হাওয়া কাচের মতো।
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও,
দূরবীণে চোখ রাখবো না না না না না না না না না না

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খার
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাতরে পাড় খোজার।

কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে।
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুজোনা আমায়
আশেপাশে আমি আর নেই।

আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ।
এই স্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না না না না না না না না না

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাইনা আর তার
কোন রাত-দূপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাতরে পাড় খোজার।

না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না

তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যতো
তারা ছুটছে রাত্রি-দিন নিজের মতো
কখনো সময় পেলে একটু ভেবো
আঙুলের ফাকে আমি কই

হিসেবের ভিড়ে আমি চাইনা ছুঁতে
যত শুকনো পেয়াজ কলি, ফ্রিজের শীতে
আমি ওবেলার ডাল-ভাত ফুরিয়ে গিয়েছি
বিলাসের জলে ভাসব না না না।

এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার
আমি রাখতে চাইনা আর তার
কোন রাত-দূপুরের আবদার
তাই চেষ্টা করছি বারবার
সাতরে পাড় খোজার

(না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না)

আমার পৃথিবী - ব্ল্যাক

ছায়ারা সরে যাবে
জানি সূর্য উঠবে
মৃতসব গাছের নিচে
 আগুন জ্বলবে.....
বুকের ভিতরে নদী
 কুয়াশা কুয়াশা ...
পাথরের ওপর বসে 
দেখছি এ সবি

তাকিয়ে আছে মৃত্যুর এপারে
জীবনের সুতীব্র উল্লাস দেখি আমি
সাদা রৌদ্রে ভাসছে সবি

পায়ে পায়ে ফিরে 
আসি আবার
নিভৃতে বুনি 
দুঃখের গান।
অনন্ত আগুনে পোড়ে 
অনিদ্র চোখ।
আমার বিবেক পোড়ে 
সূর্যের নিচে।

বৃষ্টি ......[অন্জন দত্ত]

আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি।
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…

চারটে দেয়াল মানেই নয়তো ঘর, নিজের ঘরেও অনেক মানুষ পর
কখন কিসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর 

আমি অনেক ভেঙেচুরে, আবার শুরু করেছি
আবার পাওয়ার আশায় ঘুরে মরেছি।
আমি অনেক হেরে গিয়েও হারটা স্বীকার করিনি,
শুধু তোমায় হারাবো আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি…

হারিয়ে গেছে তরতাজা সময়, হারিয়ে যেতে করেনি আমার ভয়।
কখন কিসের টানে মানুষ পায় যে খুঁজে বাঁচার মানে,
ঝপসা চোখে দেখা এই শহর …

আমি অনেক শ্রোতে বয়ে গিয়ে, অনেক ঠকেছি,
আমি আগুণ থেকে ঠেকে শিখে, অনেক পুড়েছি।
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছুই দিতে শিখেছি,
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি।